দেশজুড়ে

জয়পুরহাট সুগার মিলে ২৫ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত

জয়পুরহাট চিনিকলের গুদামে এখনও অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে ৩ মৌসুমের অবিক্রিত ২৫ কোটি টাকার চিনি। এগুলোসহ প্রায় পৌনে ২শ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আখ মাড়াই মৌসুম শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে। চলতি মাড়াই মৌসুমে এ চিনিকলে ৬৫ হাজার মে. টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৮শ ৭৫ মে. টন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এবার চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম ধরা হয়েছে ৪৫ দিন। চাহিদা মতো আখ পাওয়া গেলে ৪৫ দিন মাড়াই কাজ চলবে। আর না পাওয়া গেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।ষাটের দশকে স্থাপিত দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলে অবিক্রিত চিনি মজুদ রয়েছে ৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৩টি আখ মাড়াই মৌসুমে বিপুল পরিমাণ চিনি মজুদ আছে এই চিনিকলের গুদামে।  জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম অবিক্রিত চিনির সত্যতা নিশ্চিত করলেও ঠিক কি কারণে চিনি বিক্রি হচ্ছে না সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।জয়পুরহাট চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আফজাল হোসেন চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, কম দামে চিনি আমদানির কারণে দেশে উৎপাদিত চিনি উন্নতমানের হলেও তা বার বার মার খাচ্ছে স্থানীয় বাজারে। তাই একই কারণে জয়পুরহাটসহ দেশে উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে না বলে সেগুলো অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যাচ্ছে।বিপুল পরিমাণে অবিক্রিত চিনি নিয়ে আশঙ্কার কথা জানালেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। জয়পুরহাট চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চলতি মাড়াই মৌসুমের মধ্যে ওই বিপুল পরিমাণ চিনি বিক্রি করা না গেলে আগামী দিনে কৃষকদের আখের মূল্য পরিশোধে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হবে। এছাড়া চিনিকলে কর্মরত প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক- কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন নিয়মিত পাওয়া যাবে কিনা তাতে সন্দেহ আছে। রাশেদুজ্জামান/এসএস/এমএস

Advertisement