জাতীয়

অধিকাংশ চেকপোস্ট ফাঁকা, লকডাউনেও যানজট!

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রোধে চলমান বিধিনিষেধের সপ্তম দিনে আজ (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বিশেষ করে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা আরও বেড়েছে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে প্রাইভেটকার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি জিপগাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল বেড়েছে।

Advertisement

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কোথাও কোথাও যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে তৎপর হতে দেখা গেছে। চলমান বিধিনিষেধের প্রথম চার-পাঁচদিন বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চললেও বর্তমানে চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রমে শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ অধিকাংশ চেকপোস্টই ফাঁকা দেখা গেছে। কোথাও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললে কেবল সেখানেই যানবাহন ও জনচলাচলে কঠোরতা লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু চেকপোস্টে লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার চেয়ে ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মামলা দিতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগ, নিউমার্কেট, শাহবাগ, কলাবাগান, রমনা, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানা এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে বিগত ছয়দিনের তুলনায় আজ অধিক সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। দুপুর ১টার সময় রাজধানীর শেখ রাসেল স্কয়ারে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রাফিক কনস্টেবলকে ব্যতিব্যস্ত হয়ে হাত উঁচিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও নানা অজুহাতে অসংখ্য মানুষকে রাস্তায় দেখা যায়। করোনার সংক্রমণ রোধে রোগতত্ত্ববিশেষজ্ঞরা বাইরে বের হওয়া শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে পরামর্শ দিলেও অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। যারা পড়ছেন তাদের অনেকে মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে থুতনিতে রাখছেন।

Advertisement

আজ রাস্তায় রিকশা চলাচলও বেশি দেখা যায়। তবে দুপুরে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর রাস্তায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কমে যায়। বিভিন্ন চেকপোস্টে ব্যারিকেড দেয়া হলেও অধিকাংশ চেকপোস্ট ফাঁকা দেখা যায়। কোথাও বা হাতে গোনা দু-চারজন পুলিশ থাকলেও তাদের নিস্প্রুভ দেখা যায়।

এমইউ/এমআরআর/এএসএম