দেশজুড়ে

ভোগান্তি সঙ্গী করেই রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিনেও ভোগান্তিকে সঙ্গী করে রাজধানীতে ফিরছে সাধারণ মানুষ। এ সময় অনেককে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলে আবার কেউ পায়ে হেঁটে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সাভার ও আশুলিয়ার বাসস্ট্যান্ড এলাকাগুলোতে লোকজনের ভিড় দেখা যায়। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজেদের গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষকে রিকশাযোগে চলাচল করতে দেখা গেছে।

আফাজ ও বেলাল নামে দুইজন ঝাড়ু ব্যবসায়ী টাংগাইলের মধুপুর থেকে আশুলিয়ায় পৌঁছেছেন দুপুর ১২টায়। এর আগে ভোররাতে বাসা থেকে রওনা দেন তারা। রাস্তায় কখনো রিকশা, কখনো ভ্যান, আবার কখনো অটো, সিএনজিযোগে ঢাকায় ফিরেছেন। এর মধ্যে কিছু রাস্তা পায়ে হেঁটেও আসেন তারা। তারা জানান, হাতে কোনো টাকা-পয়সা না থাকলেও ধার দেনা করে অনেক বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে সাভার পর্যন্ত আসলাম।

সিরাজুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে হাইসে করে এসেছি। আমাকে গাজিপুরের চন্দ্রা নামিয়ে দিয়েছে। তার পরে রিকশা করে এখানে নবীনগর এসেছি। থাকি সাভার ব্যাংক টাউন এলাকায়। বাবা-মা এখানে থাকেন তাই চলে এসেছি। গ্রামে একা ঈদ করতে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

ফরিদপুর থেকে আসা আশরাফ নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, লকডাউন এতো কঠোর হবে বুঝতে পারিনি। আগেও তো লকডাউন দিয়েছে সরকার। তখন তো গাড়ি পাওয়া যেত, এখন তাও নেই। তিনি আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কী করবো আমরা বলেন। আমাদের তো গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। চাকরি বাঁচাতে হবে তাই চলে আসলাম।

উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর আগে ঈদযাত্রার জন্য বিধিনিষেধে শিথিলতা দেয় সরকার। এই সুযোগে অনেকে গ্রামে ফেরে। পরে বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে কর্মস্থলে ফিরতে বিপাকে পড়েন।

আল-মামুন/এআরএ/জিকেএস

Advertisement