শ্বেতী বা ভিটিলিগো রোগে অনেকেই ভুগে থাকেন। যা ধবল রোগ নামেও পরিচিত। ত্বকের বিভিন্ন স্থান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগটি। শ্বেতী বা ত্বকের সাদা ধবধবে দাগ এক ধরনের অটো ইমিউন ডিজিজ। শ্বেতী মূলত মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাঁধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলে দেখা দেয়।
Advertisement
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেতী বংশগত ধারায় হয়ে থাকে। যদিও শ্বেতী ছোঁয়াচে বা প্রাণঘাতী রোগ নয়। তবে শ্বেতী কেন হয়?
ত্বকের একটি অদ্ভুত রোগ হলো শ্বেতী। ত্বকের মধ্যে উপস্থিত মেলানোসাইট কোষে থাকা মেলানিন, প্রধানত ত্বকের স্বাভাবিক বর্ণের ভারসাম্য রক্ষা করে। এই মেলানিনই ফর্সা বা কালো রঙের কারণ।
এই মেলানিনের ভারসাম্য নষ্ট হলে অথবা এর কার্যকলাপে বাঁধা সৃষ্টি হলে, শ্বেতীর সমস্যা দেখা দেয়। তবে ঘরোয়া কিছু উপায়েই প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ সাড়িয়ে তোলা সম্ভব। জেনে নিন করণীয়-
Advertisement
>> পেঁপে শ্বেতীর সমস্যা দূর করতে দুর্দান্ত কার্যকরী। ত্বকের সাদা স্থানে পেঁপের টুকরো ঘষুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। শ্বেতীর কারণে হারিয়ে যাওয়া মেলানিন কোষগুলিকে পুনর্নির্মাণ করতে নিয়মিত পেঁপের জুস পান করুন।
>> এ ছাড়াও লাল মাটি শ্বেতী চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। লাল মাটিতে থাকে তামা। এক টেবিল চামচ আদার রসের সাথে, দুই টেবিল চামচ লাল মাটি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে শ্বেতী স্থানে মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। আদার রস শ্বেতীর জায়গায় রক্ত প্রবাহে সহায়তা করবে।
>> শ্বেতীর সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার অন্যতম উপায় হলো তামার পাত্র থেকে পানি পান করা। তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে এটি শরীরে মেলানিন উৎপন্ন করে।
>> তুলসি পাতাতে অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য থাকে। লেবুর রসের সঙ্গে তুলসি পাতার মিশ্রণ, ত্বকের মেলানিন উৎপাদনে উৎসাহিত করে। তাই ত্বকের শ্বেতী স্থানে তুলসির রস ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
Advertisement
>> প্রতিদিন কমপক্ষে ৫টি আখরোট খেলে শ্বেতীর সমস্যা কমতে শুরু করে। এ ছাড়াও শ্বেতী স্থানে আখরোটের গুঁড়োর মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
>> অ্যালোভেরাতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এতে ভিটামিন এ, সি, বি ১২, ফলিক অ্যাসিড, তামা, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক থাকে। যা পুনরায় ত্বকের বর্ণ ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
>> আরও এক উপাদান হলো হলুদ। শ্বেতীর সমস্যা নিরাময়ে সরিষার তেলের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ২০ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ভালো ফল পেতে মিশ্রণটি দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমকেএইচ