মহামারিকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করছে তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
Advertisement
আকিজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের বেইকম্যান বেকারির পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানী ঢাকায় পাঁচটি, খুলনায় দুটি এবং রাজশাহীতে একটিসহ মোট আটটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন করা হচ্ছে। গত ৭ জুলাই থেকে তাকওয়া ফাউন্ডেশন এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম চালু করে।
শুরুতে পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে শুধু করোনা রোগীদের বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিলেও বর্তমানে করোনার বাইরে অন্য রোগীরাও তাদের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে এ সুবিধা নিতে পারছেন। তাদের হটলাইন নম্বরগুলো হলো- ০১৭৩০৩৫৩৭৩৩ ও ০১৭৩০৩৫৩৭৩৪।
বুধবার (২৮জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ এর সামনে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের অ্যাম্বুলেন্স সেবাদান কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত একজন করোনা যোদ্ধা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
Advertisement
এ সময় তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে সেতারা বেগম নামে এক রোগীকে নিয়ে ঢামেক হাসপাতাল-২ করোনা ইউনিটে নিয়ে আসেন।
সেতারা বেগমের দুই ছেলেমেয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। ভদ্রমহিলা এ সময় অ্যাম্বুলেন্সেই শুয়ে ছিলেন।
কিছুক্ষণ পর সেতারা বেগমের ছেলে এসে জানান, এখানে শুধু করোনা রোগীদের ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসক তার কাছে রোগের বর্ণনা শুনে মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার করেছেন।
তিনি জানান, তার মায়ের গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর এতটা দুর্বল যে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। এ কারণে প্রথমে মুগদা ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুই হাসপাতালে নন-করোনা বলে ভর্তি নেয়নি। তৃতীয়বারের মতো এখন মিটফোর্ড হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
Advertisement
সেতারা বেগমের ছেলে আরও জানান, তাকওয়া ফাউন্ডেশনের প্রতি তারা কৃতজ্ঞ। তাদের হটলাইনে যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স বাসায় এসে হাজির হয়। তাদের অ্যাম্বুলেন্স সেবার সঙ্গে জড়িত স্বেচ্ছাসেবকদের আচার-ব্যবহার খুবই ভালো। গাড়িতে ওঠার আগে ও পরে হাত স্যানিটাইজ করা হয় বলে জানান তিনি। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনেরও সুব্যবস্থা রয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, করোনাকালে এ হাসপাতালে নন-করোনা রোগীদের ভর্তি ও চিকিৎসা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতাল অন্য হাসপাতালে রোগী রেফার করছে।
এমইউ/এআরএ/জেআইএম