আন্তর্জাতিক

তিউনিসিয়া সংকটে ‘প্রোপাগান্ডার’ ঢেউ সৌদি-আমিরাতে

দীর্ঘদিন আর্থিক সংকটের জেরে আন্দোলন দানা বাঁধছিল তিউনিসিয়ায়। সেই আন্দোলনকে বেগবান করেছে করোনাভাইরাস মহামারি। এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর  সম্প্রতিতিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেম মিসিসিকে বরখাস্ত করেছেন। সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে পার্লামেন্ট। যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে দেশটিতে মাসব্যাপী কারফিউ জারি রয়েছে।

Advertisement

হিসেমকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্তের খবর আসার পর বিক্ষোভকারীরা উল্লাস প্রকাশ করছেন দুই দিন ধরে। তিউনিসিয়ার এই রাজনৈতিক সংকট ঘিরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালানো হতে পারে- এমন কথা শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরোধীরা এ নিয়ে ইতিবাচকভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে।

তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের পর এটিকে সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন পোস্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন অনেকে। গত রোববার তিউনিসিয়ায় মুভমেন্টের পর টুইটারে হ্যাশট্যাগ চালু হয় ‘ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়ায় বিপ্লব’-এ ধরনের। আর এসব টুইট করা হয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ৬ হাজার ৮০০ অ্যাকাউন্ট থেকে করা ১২ হাজার টুইট বিশ্লেষণ করা হয়। এসব টুইট থেকে আন্দালনকে সমর্থন আর প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ আপাতদৃষ্টিতে ইতিবাচক মনে করা হলেও ক্ষমতাসীন এনহাদা পার্টি এটিকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

Advertisement

মূলত ২০১১ সালের পর থেকে অস্থিরতা শুরু তিউনিসিয়ায়। ‘আরব বসন্ত’ নামের গণ-আন্দোলন তখন শুরু হয়েছিল এই দেশ থেকেই। পরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী সেই বিক্ষোভের মুখে তখনকার তিউনিসিয়া সরকার পতন হলেও সেই বিপ্লবের সুফল পায়নি দেশটির জনগণ। আর্থিক দুরবস্থা, বেকারত্বসহ নানা কারণে তিউনিসদের মধ্যে হতাশা জেঁকে বসে। আর মহামারি সেই ক্ষোভকে উসকে দিয়েছে কয়েকগুণ। তাছাড়া বর্হিবিশ্বের রাজনৈতিক কূটকৌশলকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এসএনআর/কেএএ/জেআইএম