দেশজুড়ে

দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গ্রাহকদের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়েছে জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। উচ্চ সুদের প্রলোভন দেখিয়ে আমানত সংগ্রহের পর উধাও হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ পরিচালকরা। উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার শাহাবুদ্দিন শপিং কমপ্লেক্সের চার তলায় জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লিমিটেডের অফিসে এখন তালা ঝুলছে। এতে শুধু গ্রাহকই নয়, প্রতারিত হয়েছেন ওই কোম্পানির প্রায় ৩৫ জন কর্মচারীও। প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী ও ৬৮৭ জন গ্রাহক এখন দিশেহারা। এ ঘটনায় প্রতারক প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুক্রবার কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহক সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।গ্রাহকরা জানান, জনতা  সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ছিলেন এম ইসমাইল হোসেন। প্রতারক ইসমাইল হোসেন এ কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোম্পানিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন। এ কোম্পানিতে একে একে ৩৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়োগ দেন তিনি। এছাড়া বেকার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত এবং দরিদ্র, দুস্থদের কাছ থেকে দ্বিগুন টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে ৬৮৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও বিভিন্ন ব্যাংকের ভুয়া চেক দিয়ে জামানত হিসেবে টাকা জমা রাখেন এ প্রতিষ্ঠানে। জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লিমিটেডের গ্রাহক আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লিমিটেডের কর্মচারীরা আমাদের ওই কোম্পানিতে টাকার সঞ্চয় করলে দ্বিগুন লাভের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সঞ্চয় করান। এ ঘটনায় শতাধিক গ্রাহক শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় এসে ওই কোম্পানির পরিচালক এম ইসমাইলকে গ্রেফতার দাবি জানান।জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লি. ম্যানেজার মোস্তাক আহম্মেদ জাগো নিউজকে জানান, এম ইসমাইল হোসেন কোম্পানিতে চাকরি আমাদের ৩৫ জন স্টাফকে চাকরি দেয়ার সময় সবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জামানত নিয়েছিল। পরবর্তীতে সে আমাদের টাকা ফেরত না দিয়ে পালিয়ে যায়। সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোয়েব খান জাগো নিউজকে জানান, জনতা সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে ওই কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মো. শাহাদাত হোসেন/একে

Advertisement