চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ৬০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিটকে ১২০ শয্যায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে করোনার পরিস্থিতি ভালো নয়। তারপরও পুরো হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন ইউনিট করার কোনো পরিকল্পনা এখনো নেয়া হয়নি। তবে ১২০ বেড থেকে দেড়শ বেডের আইসোলেশন ইউনিট করার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি সাত উপজেলায় ২০টি করে ১৪০ টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘প্রয়োজনে প্রতি উপজেলায় আরও ১০ শয্যা করে বাড়ালেও সাত উপজেলায় ৭০টি শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে। মূলত কয়েকটি উপজেলার সাধারণ মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। এতেই সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ডাক্তার ও নার্সরা চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অক্সিজেনের কিছুটা সংকট রয়েছে। আবুল খায়ের গ্রুপ অক্সিজেন সাপ্লাই দিচ্ছে। পাশাপাশি আমরা কুমিল্লা থেকেও সিলিন্ডার নিয়ে আসছি। সামান্য সংকট থাকলেও অক্সিজেন প্লান্ট চালু হলে সেই সংকট কেটে যাবে।’
ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ বলেন, ‘অনেকেই আমার নাম ব্যবহার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল পুরোটাই করোনা ইউনিট হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যারা সংবাদ প্রকাশের আগে আমার সঙ্গে কথা বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘পুরো হাসপাতাল যদি করোনা আইসোলেশন ইউনিট করা হয় তাহলে শিশু ও নারীসহ জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিতে সমস্যা সম্মুখীন হবেন সাধারণ রোগীরা। তাই আপাতত এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা নেই।’
এখন পর্যন্ত জেলায় আট হাজার ৫৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৬১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ২৯৫ জন।
Advertisement
নজরুল ইসলাম আতিক/আরএইচ/এমকেএইচ