দেশজুড়ে

নমুনা পরীক্ষা : রূপপুরে ল্যাববিহীন ১১ প্রতিষ্ঠানের বুথ বন্ধ ঘোষণা

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য বেসরকারিভাবে স্থাপিত ১১টি প্রতিষ্ঠানের বুথ বন্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নিজস্ব ল্যাব না থাকা এবং অনিয়মের অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানের বুথ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

Advertisement

গত ১৮ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পাবনা সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পাবনার সিভিল সার্জন মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। যদিও নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা অনুমতি নিয়েই সেবামূলক ব্যবসাটি করে আসছিলেন।

অধিদফতরের চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর ডিএনএ সল্যুশনসহ আরটিপিসিআর পরীক্ষার অনুমোদনপ্রাপ্ত বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্জন পাবনার কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি নিয়েছিল। তারা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করত। এরপর ঢাকায় নিয়ে সেগুলোর আরটিপিসিআর পরীক্ষা করছে তারা। এতে নমুনা সংগ্রহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ অবস্থায় রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ঢাকা মহানগর ও দেশের অন্যান্য জেলায় অবস্থিত বেসরকারি আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথ স্থাপনের অনুমতি প্রদান রহিত করা হলো। একই সঙ্গে ঢাকাস্থ ডিএনএ সল্যুশন নামক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের বুথসহ নমুনা সংগ্রহের অনুমতি বাতিল ঘোষণা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

Advertisement

এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দীর্ঘ দিন ধরে আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং শর্তসাপেক্ষে পাবনা সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়ে কাজ করছিল। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে বেসরকারিভাবে স্থাপিত ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ খাঁন বলেন, গুণগত মান ঠিক রেখে তারা বেসরকারিভাবে রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প এলাকায় করোনার নমুনা সংগ্রহসহ পরীক্ষার কাজ করে আসছেন। নিয়ম অনুসরণ করে বিশেষ এলাকার ভেতরে তারা নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন। তাদের দেয়া রিপোর্টও সঠিক। স্বাস্থ্য অধিদফতর হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

পাবনা জেলা সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার ল্যাবসহ বুথ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলবে। বন্ধ করে দেয়া ১১টি প্রতিষ্ঠানের কোনোটারই নিজস্ব ল্যাব নেই। তারা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে। এক্ষেত্রে সঠিক পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান করোনা পরীক্ষার নামে তাদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তাই ল্যাব ছাড়া সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটি স্থানীয়ভাবে নেয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়।

আমিন ইসলাম/এআরএ/এমএস

Advertisement