দেশজুড়ে

অভাব মোচন করতেই ডাকাতি শুরু করে সাব্বির

৮-১০টা ছেলের মতোই এক অজোঁপাড়া গায়ে বেড়ে উঠে সাব্বির হোসেন। অভাবের সংসারে ৭ম শ্রেণিতেই থেমে যায় তার পড়ালেখা। পরে আর স্কুলে যাওয়া হয়ে উঠেনি সাব্বিরের। এলাকার সকলেই তাকে ভালবাসতো। মায়ের মৃত্যুর পর বাবা ২য় বিবাহ করাই আলাদা হয়ে যায় সাব্বির। জীবিকার তাগিদে অবশেষে ঘর থেকে বের হতে হয় তাকে। নিজ গ্রাম সদর উপজেলার ভেলাজান থেকে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় থাকা শুরু করে সাব্বির। সেখানে আসার পর সে অটোরিকশা চালাতো। গত কয়েকদিন আগেই সে অটোরিকশা চালানো বাদ দেয়। নতুন এক কর্মের সন্ধানে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ি জমায় দিনাজপুরে। গত শুক্রবার দিনাজপুরের একটি পেট্রল পাম্পে সাব্বিরসহ কয়েকজন বন্ধু ডাকাতিকালে গণপিটুনিতে সে মারা যায়।ডাকাতিকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকার সাধারণ মানুষ হতবাগ হয়েছেন। অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি সাদা মাটা ছেলে সাব্বির ডাকাতি করতে গিয়ে মারা গেছে।এলাকার সিরাজুল ইসলাম জানান, সে ছোটবেলা থেকে আমাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে। সে এমন কাজ করে মারা যাবে আমার ভাবতে অবাক লাগছে।সাব্বিরের গ্রামের বাড়ির বন্ধু মিজানুর জানান, আমরা এক সঙ্গে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। অভারের কারণে সে আর পড়তে পারেনি। সে শহরের খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে এমনটি করেছে মনে হয়।সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী জানান, আমার ছেলে ডাকাতি করতে গিয়ে মারা যাবে এটা হতে পারে না। অভাবের কারণে সে শহরে অটো চালাতো। আমার পরিবারে যদি অভাব না থাকতো তাহলে তাকে এমন কাজ করতে হতো না।উল্লেখ্য, দিনাজপুরের তৃপ্তি ফিলিং স্টেশনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী গণপিটুনিতে ৩ ডাকাত আহত হয়। এদের মধ্যে সাব্বির হোসেন (২৮) বৃহস্পতিবার বৃস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৩টি মোটরসাইকেল এবং লুট হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে। এসময় আহত তিন ডাকাত ছাড়াও আরো ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ভবানী সংকর আগরআলার সদর উপজেলার নতুন ভূষিবন্দর তৃপ্তি ফিলিং স্টেশনে রাত ৯ টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।এমএএস/এমএস

Advertisement