করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বেড়েই চলছে দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ওইসব স্থানে ভিড় করছেন। তাদের জন্য চটপটি-ফুচকাসহ নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে অস্থায়ী দোকানও।
Advertisement
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ঈদের পর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভাঙাব্রিজ, কারখানা বাজার, ইছালী, কাশিমপুর, মারতা ব্রিজ, টঙ্গী রেলব্রিজ, টঙ্গীর তুরাগ নদী বন্দর, গাছা ইছরকান্দি, সুকুন্দীরবাগ রেললাইনে প্রতিদিন মানুষের মেলা বসছে। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রিকশা, অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসব স্থানে ভিড় করছেন তারা। এতে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। অনেকেই পরেন না মাস্কও। ফলে এসব আগত দর্শনার্থীর জন্য করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
কাশিমপুর ও ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার বাসিন্দা ফরিদ হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীর ইসলামপুর থেকে কাশিমপুর বাজার পর্যন্ত ভাঙ্গাব্রিজ থেকে ট্রলারযোগে যাতায়াত করতে হয়। সারাদেশে নৌপথে নৌযান বন্ধ থাকলেও এখানে শত শত নৌযান মানুষ পারাপারের জন্য অপেক্ষমাণ থাকে। এসব ট্রলার যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি বিনোদনপ্রেমীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দর্শনার্থীরা তাদের ঘোরাঘুরির ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে অন্যদেরও উৎসাহ দিচ্ছেন। এতে প্রতিদিন তুরাগ নদীর দুপাড়ে বিনোদন পিপাসুদের ভিড় বেড়েই চলছে।’
Advertisement
ফরিদ হোসেন বলেন, ‘জেলার সব কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা তাদের বন্ধুবান্ধব নিয়ে বিকেলে দল বেঁধে ওইসব স্থানে ভিড় করেন।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মালেক খসরু খান জানান, জনসমাগম হয় এমন স্থানে জমায়েত না হতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কথা না শুনলে তাদের ধাওয়া দেয়া হয়।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে যেন তারা ঘর থেকে বের না হন এ জন্য জেলাজুড়ে মাইকিংসহ নানা প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি ও আইন ভঙ্গ করেছেন তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’
মো. আমিনুল ইসলাম/এসজে/এমকেএইচ
Advertisement