মাদারীপুরের সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী মাহিম হোসেন মুকিত একজন সংগীতশিল্পী, উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আগ্রহ তাকে এই মাধ্যমে পরিচিত মুখ করে তুলেছে।
Advertisement
দেখতে দেখতে ১৬ বছরের পথচলা। এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। মুকিত একাধারে একজন মিজিউসিয়ান এবং উদ্যোক্তা।
‘Mahim Hossain Mukit’ নামে নিজের একটি ফেসবুক ফ্যান পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এই যুবক। মূলত ফেসবুকের সুরক্ষাজনিত সমস্যা সমাধান এবং সাইবার নিরাপত্তা তৈরির কাজ করছেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংও করেন। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের প্রমোশন করে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে। ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংগীত প্লাটফর্ম ইউটিউব, টিকটক এবং স্পটিফাইয়ের অফিসিয়াল শিল্পী হিসেবে ভেরিফাইড হয়েছেন মুকিত। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইউটিউবে অফিসিয়াল শিল্পী চ্যানেল হিসেবে ভেরিফায়েড হয়েছিল তার চ্যানেল এবং সম্প্রতি তিনি স্পটিফাই থেকে শিল্পী যাচাই-বাছাইয়ে স্থান পেয়েছেন।
Advertisement
তিনি ২০১৮ সালে সংগীত ও ডিজিটাল বিপণন বিপণন সংস্থা ‘মাহিম আইটি’ এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে মুকিত বলেন, আমি অনেক প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে এখন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করার সময় এসেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে কাজের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে স্বাভাবিক কাজ করা সম্ভব নয়। আপনি যদি কোনও প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করতে চান তবে আপনাকে সেখানে যেতে হবে। তাই আমি এই মুহূর্তে ইউটিউব, স্পটিফাই এবং আইটিউনসসহ সমস্ত স্ট্রিমিং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে থেকেই গান প্রকাশের চেষ্টা করছি। বর্তমানে এগুলোই সেরা মাধ্যম বলে মনে করি।
মুকিতয়ের পরিকল্পনা স্পোটিফাই, আইটিউনস, অ্যাপল, অ্যামাজন, টিডাল, ডিজারসহ অন্যান্য সব আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে তার গানগুলো সংরক্ষণ কবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে তার মতো দেশের অন্যান্য শিল্পী উদ্যোক্তারাও এইভাবে তাদের গান প্রকাশ করবেন। তিনি বলেন, আমি এখন থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি শুরু করেছি।
এমএমএফ/এএসএম
Advertisement