অর্থনীতি

‌‘লকডাউন’ আশীর্বাদ হলো লিন্ডে বিডির

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরও দফায় দফায় বিধিনিষেধ (লকডাউন) জারি করেছে সরকার। এ সময় কার্যত দেশ অবরুদ্ধ থাকলেও বহুজাতিক কোম্পানি লিন্ডে বিডির জন্য এটাই ‘আশীর্বাদ’ হয়ে এসেছে।

Advertisement

লকডাউনের মধ্যে ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই বহুজাতিক কোম্পানি মুনাফায় বড় চমক দেখিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৩৭০ শতাংশের বেশি।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারঘোষিত ‘লকডাউন’কেই মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখিয়েছে অক্সিজেন উৎপাদনকারী এই কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এমন কথা জানা গেল।

Advertisement

ডিএসই জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২২ টাকা ৫৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১৭ টাকা ৭৫ পয়সা বা ৩৭০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় বড় উত্থান হওয়ায় ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন) হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফায় বড় উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪১ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ টাকা ১৬ পয়সা।

মুনাফায় এমন উন্নতি হওয়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএসই জানিয়েছে, শেষ বছরে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন তাদের আয় বাড়াতে বড় ধরনের প্রভাব রেখেছে। এটাই মুনাফা বাড়ার প্রধান কারণ।

মুনাফা বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৫৭ টাকা ১৭ পয়সা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ৩৫৫ টাকা ৭৫ পয়সা।

Advertisement

এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে লিন্ডে বিডির শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৩ টাকা ৭৪ পয়সা।

এমএএস/এমআরআর/এএসএম