দেশের পাওয়ার খাত উন্নয়নে প্রয়োজন ৩০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজিবাজরে বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে এ অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপক মো. ফায়েকুজ্জামান।রাজধানীর কাকরাইলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০১৫’ এর দ্বিতীয় দিনে ‘শিল্পায়নে পুঁজিবাজার ও বিকল্প অর্থায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ফায়েকুজ্জামান বলেন, এই পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে দেশের বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে।প্রধান খাতগুলোর সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে বড় কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে এ বাজার। এখন দেশের পাওয়ার খাতে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা এই পুঁজিবাজার থেকে তোলা যেতে পারে। আর এটা বন্ড ছাড়ার মাধ্যমেই সম্ভব। পুঁজিবাজারে বিকল্প অর্থায়নে বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, আইসিবির ৮টি ফান্ডসহ বেশিরভাগ ফান্ড ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর বাকিগুলো ভালো অবস্থানে নেই।এসব ফান্ডের বেশির ভাগ এসেছে ২০১০ সালের ধ্বসের সময়।আইসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন আর কোনো ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। তবে গ্রাম পর্যায়ের মানুষদের জন্য এখানে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা এখানে বিনিয়োগে অংশ নিতে পারে। আবার প্রবাসীদেরকে পুঁজিবাজারে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার দরকার রয়েছে।তিনি বলেন, ৯৬ ও ২০১০ সালের ধ্বস বাদ দিয়ে তুলনা করলে বলা যায় পুঁজিবাজার অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিচার্স ফেলো ড. মঞ্জুর আহমেদ বলেন, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ প্রায় ৩৩ ভাগে উন্নতি করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর সরকারি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এই বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব।বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার মূল ভূমিকা পালনকারী বাজার। যেখান থেকে বড় বড় কোম্পানি অর্থ উত্তোলন করেছে। বিবিএস এই বাজার থেকে অর্থ নিয়ে আজ এই অবস্থানে এসেছে। তাই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে হবে। সেমিনারটি আয়োজন করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক। এসআই/এএইচ/এমএস
Advertisement