মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরি আবহাওয়া ও লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগরে ইলিশ ধরতে যেতে পারছেন না বাগেরহাটের জেলেরা। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ঘাটেই থাকতে হচ্ছে তাদের।
Advertisement
রোববার (২৫ জুলাই) সরেজমিন দেখা যায়, শরণখোলার মৎস অবতরণ কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করা রয়েছে শত শত ফিশিং ট্রলার।
জানা যায়, একদিকে করোনা, অন্যদিকে দীর্ঘ দুমাসের নিষেধাজ্ঞায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন জেলে ও মহাজনরা। তবে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়েছেন তারা। এ ত্রিমুখী সঙ্কটের মুখে লাখ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে চরম হতাশায় রয়েছেন তারা। সময়মতো বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে না পারলে শুরুতেই লোকসানে পড়তে হবে তাদের।
নিষেধাজ্ঞার অবসর সময়ে জাল ও ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাওয়ার উপযোগী করতে একেকজন ট্রলার মালিকের দুই-তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। জ্বালানি তেল, রসদ সামগ্রী কেনা এবং জেলে শ্রমিক ও মাঝিদের কারও ১০ হাজার আবার কারও ২০-২৫ হাজার টাকা অগ্রিম দিতে হয়েছে। এসব টাকার বেশিরভাগই মহাজনদের কাছ থেকে দাদন ও সুদে নিয়েছেন তারা।
Advertisement
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, অবরোধ শেষে অনেক আশা নিয়ে সাগরে রওনা হবেন জেলেরা। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় তাদের সব প্রস্তুতি মাটি করে দিয়েছে। সময়মতো সাগরে জাল ফেলতে না পারলে তাদের লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।
শওকত আলী বাবু/এসএমএম/জেআইএম