করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনেই সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পর্যটকদের জন্য ‘জলকুটির’ খোলা রেখেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। বিধিনিষেধ সত্ত্বেও জলকুটিরে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসছে শত শত মানুষ। শুধু ব্যবসায়িক মুনাফার জন্য ‘জলকুটির’ খোলা রাখায় দর্শনার্থীদের সমাগম থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান তার গাঙচিল ফাস্টফুড অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট নামক ‘জলকুটির’ খোলা রেখেছেন। নামে ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্ট হলেও মূলত এটি হচ্ছে ‘জলকুটির’।
‘জলকুটিরটিতে’ একসঙ্গে বসে লোকজন সময় কাটান। এই জলকুটির খোলা রাখায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। এ সময় কেউ কেউ জলকুটিরে বসে ফাস্টফুড আইটেম অর্ডার দিয়ে বসে গল্প করছেন। গাদাগাদি করে মানুষজন ঢুকছেন আবার বের হচ্ছেন। অধিক লোক সমাগমের ফলে জলকুটিরে আগত দর্শনার্থীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ লোকের মুখে মাস্ক ছিল না।
Advertisement
স্থানীয় বাইদগাঁও এলাকা থেকে শিশু নিয়ে বেড়াতে আসা অঞ্জনা বেগম জানান, ঈদের মধ্যে আমরা তো আর দূরে কোথাও যেতে পারি না। এই জলকুটির আমাদের বাড়ি থেকে কাছে হওয়ায় এখানে এসেছি। করোনার ঝুঁকি থাকার পরও বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
জিরানী এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ফরহাদ হোসেন বলেন, মেয়েকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি এখানে শত শত মানুষ গাদাগাদি করে চলাচল করছে। অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।
জানতে চাইলে গাঙচিল জলকুটিরের মালিক শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান জানান, আজ খোলা হয়েছে তবে আমি গিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। আমি সচেতন লোক বিধায় বন্ধ করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজাহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
আল-মামুন/এমএসএম/এমআরএম/এএসএম