জাতীয়

চাপ সামলাতে ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে যোগ হচ্ছে আরও ৫০০ বেড

রাজধানীর মহাখালীতে চালু হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’-এ দ্রুত বাড়ছে রোগীর চাপ। এ হাসপাতালে এখনও অক্সিজেনের সংকট না হওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীরা এখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

Advertisement

শনিবার (২৪ জুলাই) হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, হাসপাতালে ৫১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে প্রায় দুইশ রোগী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুদিন আগেও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু ঈদের পরদিন থেকে রোগী বাড়ছে। আজ সকাল থেকে রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় হাসপাতালে নতুন করে আরও বেডের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে।

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রায় তিন মাস আগে রাজধানীর মহাখালীতে এ হাসপাতাল চালু করা হয়। এক হাজার শয্যার এ হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক আইসিইউ ও এইচডিইউ শয্যা রয়েছে।

Advertisement

দেশে করোনা ভাইরাসের দ্রুত ঊর্ধ্বগামী পরিস্থিতিতে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে জাগো নিউজকে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর একটা প্রভাব আমাদের হাসপাতালেও পড়েছে। আমাদের এখানেও রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।’

অক্সিজেন সংকট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই।আমাদের এখানে প্রচুর অক্সিজেন চালাচ্ছি এবং হাই ফ্লো, বাই ক্যাপ সি ক্যাপ, ভেন্টিলেটর এগুলো আমরা ইউজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ৫০০ জেনারেল বেড সাধারণ ওয়ার্ডে আছে, সেখানে রোগীরা অক্সিজেন এর আওতায় নেই।সেগুলোতে সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া নতুন করে আরও ৫০০ বেড তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। সেগুলো সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেনের জন্য আরও একটি জিআই ট্যাংক আমরা লাগাচ্ছি। ওইটার কাজও আগামী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। অলরেডি আমাদের স্ট্রাকচার হয়ে গেছে।’

Advertisement

হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এখানে কুর্মিটোলা, ঢাকা মেডিকেল, মুগদা হাসপাতাল থেকে রোগী আসছে। যতক্ষণ পারছি রোগী নিচ্ছি। আর রোগীর চাপ বাড়ার কারণেই আমরা প্ল্যান করছি, কাজও করছি। নতুন বেডগুলো যদি সেন্ট্রাল অক্রিজেন এর আওতায় নিয়ে আসি তাহলে আমরা অনেক সিরিয়াস পেশেন্টগুলো রাখতে পারব। তবে করোনা এভাবে বাড়তে থাকলে কোনো সিস্টেমই কাজে আসবে না। তখন অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাবে।’

এফএইচ/এমএইচআর/এমকেএইচ