ধর্ম

টেস্ট-আইসোলেশন ছাড়াই ফিরতে পারবেন হাজিরা!

১৩ জিলহজ শেষ হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। এবারের হজে অংশগ্রহণকারী হাজিদের বাড়ি ফিরে করোনা টেস্ট কিংবা আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন হবে না। এমন তথ্যই জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ডা. আবদুল্লাহ আসিরি। খবর আরব নিউজ।

Advertisement

ডা. আব্দুল্লাহ আসিরি বলেন, এই বছর হজ থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়া ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা বা আইসোলেশনের থাকার প্রয়োজন হবে না। যেহেতু হজে অংশগ্রহণকারী এবং সেবাদানকারী সবাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। যদি না তারা বাড়ি ফেরার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনভাইরাসের কোনো লক্ষণ না দেখেন।’

হজের তথ্য বিবরনীএ দিকে ১৪৪২ হিজরিতে (চলতি বছর) হজ আদায়কারীদের কতজন সৌদি আরবের নাগরিক ও কতজন দেশটিতে বসবাসকারী অন্য দেশের প্রবাসী এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সৌদি রয়্যাল অথরিটি ও হজ মন্ত্রণালয়।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ও রয়্যাল অথরিটির সমন্বয়ে গঠিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে এ বছর ৫৮ হাজার ৫১৮ জন হজ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এদের মধ্যে কতজন সৌদি ও কত জন প্রবাসী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন; সে তথ্যও তুলে ধরেছে সংশ্লিষ্ট অথরিটি।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, সব মিলিয়ে এবছর ৫৮ হাজার ৫১৮ জন হজ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এদের মধ্যে ২৫ হাজার ৭০২ জন নারী এবং ৩২ হাজার ৮১৬ জন পুরুষ হজ পালন করেছেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু সৌদি আরবের নাগরিকই ছিল প্রায় ৩৩ হাজার। যাদের মধ্যে ১৬ হাজার নারী ও ১৬ হাজার ৭৫৩ জন পুরুষ ছিলেন। এছাড়া বাকি ২৫ হাজার সৌদিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ছিলেন।

৪ কাফেলায় ভাগউন্নত সেবা নিশ্চিত করতে এবছর ৪টি কাফেলায় ভাগ করা হয়েছিল হাজিদের। প্রত্যেক কাফেলাকে দেওয়া হয়েছিল লাল, সবুজ, নীল ও হলুদ রংয়ের কার্ড। লাল রংয়ের কার্ডধারী ছিল ১৬ হাজার ৯০০ হাজি। সবুজ কার্ডধারী ছিল ২০ হাজার হাজি। নীল রংয়ের কার্ড দেওয়া হয়েছিল ১২ হাজার ৫৭৬ জন হাজীকে। এছাড়াও হলুদ কার্ডধারী হাজি ছিল ৯ হাজার।

হাজিদের জন্য তাবু স্থাপনএবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের উন্নত সেবা ও নিরাপত্তায় মিনা, আরাফা, মুজদালেফায় ৭১টি করে মোট ২১৩টি তাবু স্থাপন করা হয়েছিল। আর মিনা টাওয়ারে ৮৪৮ টি কামরাও বরাদ্দ করা হয়েছিল।

Advertisement

উল্লেখ্য মহমারি করোনার কারণে এবারও সীমিত পরিসরে সৌীদর স্থানীয় ও দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসীদের থেকে মোট ৬০ হাজার ব্যক্তিকে হজের অনুমতি দেয় দেশটি। ব্যাপক নিরাপত্তা, উন্নত সেবা ও সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতায় সফলভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশটি।

এমএমএস/এএসএম