দেশজুড়ে

শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয় ‘হিরো আলম’, খামারির লোকসান

রাজধানীর গাবতলীর হাটে ছয়দিন অপেক্ষার পর ঈদের আগের দিন ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয় ৩১ মণ ওজনের ষাঁড় ‘হিরো আলম’। যদিও খামারি এর দাম হেঁকেছিলেন ১২ লাখ টাকা। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগমের খামারের গরু ছিল এটি। গত ২০ জুলাই পুরান ঢাকার একটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ষাঁড়টিকে কেনে। চার বছর ষাঁড়টি ছিল সাড়ে ৮ ফিট লম্বা ও ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা।

Advertisement

খামারি জয়নব বেগম বলেন, ‘হিরো আলমকে গাবতলীর হাটে তোলা হয়েছিল। হাটে ছয়দিন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। কেউ কাঙ্ক্ষিত দাম বলছিল না। ছয়দিন পর পুরান ঢাকার একটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ষাঁড়টিকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় কেনা ষাঁড়টিকে দীর্ঘদিন লালন-পালন করতে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমরা ষাঁড়টি বিক্রি করে কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি। আমার প্রায় এক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’

জয়নব বেগমের স্বামী প্রবাসী কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের খামারের তিনটি ষাঁড় গাবতলীর হাটে নেয়া হয়েছিল। হাটে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ভিটি ভাড়া করা হয়। হিরো আলম নামের ষাঁড়টির দাম ১২ লাখ টাকা চাচ্ছিলাম। কিন্তু বড় গরুর ক্রেতাই পাচ্ছিলাম না। বাধ্য হয়ে ষাঁড়টি চার লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ষাঁড়টির কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি। তবে বাকি দুটি ছোট গরুর দাম ঠিক পেয়েছি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘ভিটি ভাড়া ৪৫ হাজারসহ হাটে আমার ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাটের ভিটি ভাড়া একটু কমানো উচিত।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু প্রস্তুত করেন জয়নব বেগম। তিনি গত বছরও ‘সোনা বাবু’ নামের প্রায় ৩৫ মণ ওজনের একটি ষাঁড় বিক্রি করেছিলেন।

আরিফ উর রহমান টগর/এসএস/এমকেএইচ

Advertisement