জাতীয়

বিধিনিষেধের ফাঁক গলেই ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

‘এই সাভার দেড়শো, সাভার দেড়শো’ হাঁক তুলে যাত্রী তুলছিল বিআরটিসি বাস। ঢাকার আমিন বাজার ব্রিজ থেকে সামান্য দূরে ব্যাটারিচালিত রিকশার পাশাপাশি পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি দিয় দূর-দূরান্তে ছুটছেন যাত্রীরা।

Advertisement

শনিবার (২৪ জুলাই) গাবতলী, আমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাজের প্রয়োজনে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে অনেকে আবার ঈদ পরবর্তী ছুটি উপলক্ষেও যাচ্ছিলেন গ্রামের বাড়িতে।

সকাল সাড়ে ৯ টায় ঢাকা মেট্রো - ব ১১৪৯৮৩ নম্বরের একটি বাসকে আমিনবাজার থেকে সাভারের যাত্রী নিতে দেখা গেছে। বাসটির ভেতরে কয়েকজন যাত্রীও ছিলেন। তবে প্রতিবেদককে ছবি তুলতে দেখে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায় বাসটি।

বাস ছাড়া পিকআপ ভ্যানেও এদিন যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এছাড়া বেশ কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলও যাত্রী পরিবহন করছিল।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘এভাবে লকডাউনে কতদিন বসে থাকব? পেট তো মানে না। পরিবারে প্রতিদিন হাজার টাকা খরচ আছে। বইসা থাকলে সেটা দেবে কে? আমাদের কথা কে শোনে?’ এ সময় তিনি প্রতিবেদকে ছবি ও ভিডিও না করার অনুরোধ জানান।

একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন হিমেল। তিনি জানান, ‘ঈদের ছুটি শেষ তিনি কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। পিকআপ ভ্যান কিংবা মোটরসাইকেলে করে নবীনগরে যাবেন।’

অনেকেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন জানিয়ে দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সৌরভ জাগো নিউজকে বলেন, ‘যেহেতু এখন কোভিডের সময়, লকডাউন চলছে সেহেতু আমরা প্রত্যেকটা গাড়ি চেক করছি। চিকিৎসার গাড়ি, খাদ্য পরিবহনের গাড়ি সেগুলো ব্যতীত সব গাড়ি আমরা চেক করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রয়োজনীয় কারণ দেখাতে না পারে তাহলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অপ্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেলে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Advertisement

সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসএম/এসএস/জিকেএস