দেশজুড়ে

সাতক্ষীরায় শীতকালীন সবজির আবাদ কমেছে

অতি বর্ষণ আর জলাবদ্ধতায় সঠিক সময়ে সবজি আবাদ করতে পারেননি কৃষকরা। গত বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ৯ হাজার ৭শ` ৩০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ছয় হাজার ২শ` ৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। সে হিসেবে সাতক্ষীরা জেলায় শীতকালীন সবজির আবাদ ৩০ শতাংশ কমেছে।সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ সরদার জাগো নিউজকে জানান, অতি বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সময়মতো চাষাবাদ করা যায়নি। গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করলেও এ বছর মাত্র দেড় বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছি। শিবপুর বিলের একাংশ, পার্শ্ববর্তী মাঝিয়াড়া বিল, শাহপুর বিলের কিছু অংশে পানি থাকায় চাষ কাজ ব্যাহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক কৃষক। পাটকেলঘাটা এলাকার সবজি চাষি খলিলুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে সবজি চাষ করলেও এ বছর দুই বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। এমন অবস্থা অধিকাংশ কৃষকের। কালিগজ্ঞ উপজেলার কৃষক জাহিদুল সরদার জাগো নিউজকে জানান, এ বছর দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। গত বছর চার বিঘা জমিতে চাষ করেছিলাম। মৌসুমের শুরুতে সবজি বাজারে না উঠাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যায় না। জমি চাষ, চারা রোপণ, সেচ,সার কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি দিয়ে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়। সময়মতো বাজারে ফুলকপি তুলতে না পারায় লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নান জাগো নিউজকে জানান, জেলার সাতটি উপজেলাতেই বারো মাসে সবজি চাষ হয়ে থাকে। কিন্ত এবারের শীতকালীন সবজির আবাদ গতবারের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। তার প্রধান কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে জমিতে পানি জমেছিল। আর পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় কৃষকরা সময়মতো সবজির আবাদ করতে পারেননি। তবে সবজির আবাদ কম হলেও ফলন বেশি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাতটি উপজেলাতে সবজির আবাদ হয়েছে ছয় হাজার ২শ` ৪৫ হেক্টর। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদরে এক হাজার ৯৫০ হেক্টর, কলারোয়ায় এক হাজার ৩শ` হেক্টর, তালায় ৮শ` ৯০ হেক্টর, দেবহাটায় ৩শ` হেক্টর, কালিগঞ্জে ৯শ` ৫০ হেক্টর, আশাশুনিতে ৪শ` ৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ৪শ` ৫০ হেক্টর। এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, শিম, বরবটি ও টমেটো রয়েছে। এমজেড/পিআর

Advertisement