জাতীয়

যাত্রাবাড়ীর মহাসড়কে মানুষের চলাচল বেশি

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানুষের চলাচল বেশি। এই মহাসড়ক ধরে মানুষ হেঁটে, রিকশা, ভ্যান গাড়িতে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। শনিবার (২৪ জুলাই) বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

তবে এই মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যাও ছিল খুবই কম। পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়িও খুব একটা চোখে পড়েনি। বাস চলাচল স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ আছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।

রায়েরবাগে মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী ফলের দোকান খুলতে দেখা যায়

Advertisement

শনিবার সকাল ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ-শনির আখড়া ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কে গাড়ি খুবই কম। তবে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

পায়ে হেঁটে এই মহাসড়ক ধরে পশ্চিমে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘বাসায় মেহমান আছে। একটু বেশি বাজার করতে হবে। তাই যাত্রাবাড়ী আড়তে যাচ্ছি। চারিদিক একটু ফাঁকা ফাঁকা হেটে যেতে খারাপ লাগছে না। আমাদের হাঁটাহাঁটির অভ্যাস তো একেবারে উঠেই গেছে।’

রায়েরবাগ থেকে শনির আখড়া যেতে রিকশা খুঁজছিলেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি গরুর খামার আছে মাতুয়াইলে। দুধ নিয়ে যাচ্ছি মিষ্টির দোকানের কাস্টমারদের।’

মহাসড়ক ধরে মানুষ হেঁটে, রিকশা, ভ্যান গাড়িতে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে

Advertisement

ফাঁকে ফাঁকে পুলিশের চোখ এড়িয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকও চলাচল করতে দেখা গেছে এই মহাসড়কে। রায়েরবাগে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে একটি চেকপোস্ট থাকলেও সেটি ছিল অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। সেখানে দু’জন ট্রাফিক কনস্টেবলকে দাড়িয়ে গল্প করতে দেখা যায়। তবে অন্যান্য সময় এখানে উত্তর পাশে (পুনম সিনেমা হলের সামনে) চেকপোস্ট থাকলেও, এবার তা নেই। তবে শনির আখড়ায় পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে।

রায়েরবাগে মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী ফলের দোকান খুলতে দেখা গেছে। এছাড়াও এই মহাসড়কের আশপাশের এলাকাগুলোতে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক সময়ের মতো। মানুষ ভিড় করে বাজার করছেন। অনেকের মুখে মাস্কও নেই।

এবার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা। এই সময়ে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই ছয় ঘণ্টা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আরএমএম/এআরএ/এমএস