নিজ বাড়িতে গত ৭ জুলাই সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। গতকাল শুক্রবার হাইতির ঐতিহাসিক শহর ক্যাপ-হাইতিয়েনে তার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মাঝেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
Advertisement
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। তবে কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়েন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও। পরে উত্তজনার মধ্যে সম্পন্ন করা হয় শেষকৃত্য। এদিকে, গোলাগুলির শব্দ শোনার পরপরই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা।
জোভেনেল মইসির শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। এ সময় তার স্ত্রী বলেন, ‘বিচার চাই। প্রতিশোধ চাই না আমরা বিচার চাই।’ প্রেসিডেন্টের কফিন বহন করেন সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত সদস্যরা। সাদা ফুলে সজ্জিত কফিন মোড়ানো হয় হাইতির জাতীয় পতাকা দিয়ে। একজন রোমান ক্যাথলিক যাজক শেষকৃত্য পরিচালনা করেন।
২০১৭ সালে জোভেনেল হাইতির প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং তা পিছিয়ে দেয়া হয়। পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোভেনেলের মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং তিনি ডিক্রি জারি করে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসন করে আসছিলেন।
Advertisement
এদিকে, হাইতির সরকার গত মঙ্গলবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যারিয়েল হেনরিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিয়েছে।
এসএনআর/এমএস