দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সারাদেশে আরও ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১১ জন ও নারী ৮৯ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১২৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯ জন এবং বাড়িতে চারজন মারা যান। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৮৫১ জনে। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশের।
Advertisement
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জনে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৭০৫টি নমুনা সংগ্রহ এবং ২০ হাজার ৪৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৭টি। এতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জনে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ৫০ শতাংশ।
এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন নয় হাজার ছয়জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৭৫ হাজার ৬১৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
করোনায় মারা যাওয়া ১৬৬ জনের মধ্যে বয়সের হিসেবে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩২ জন, ষাটোর্ধ্ব ৪৬ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ২৭ জন, আশির্ধ্ব ১০ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী তিনজন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬০ জন, চট্টগ্রামে ৩৩ জন, রাজশাহীতে সাতজন, খুলনায় ৩৩ জন, বরিশালে ১০ জন, সিলেটে আটজন, রংপুরে ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়।
Advertisement
এমইউ/এআরএ/জেআইএম