সিলেটে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময়ে বিভাগের চার জেলায় নতুন করে আরও ৩৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ।
Advertisement
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৫২ জন। এসময়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ এর দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২০০ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৩৬ জন, হবিগঞ্জে ৪২ জন ও মৌলভীবাজারের ১০৬ জন রয়েছেন।
Advertisement
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৮৬৪ জনে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৯ হাজার ৫১৫ জন, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৮৫৫ জন, হবিগঞ্জে ৩ হাজার ৯৮৩ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ৬৪৭ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৮৬৪ জন রয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। এরমধ্যে সিলেটে ১০ জন ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন।
হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ৩৮৯ জন। এরমধ্যে সিলেটে ২৬৫ জন, সুনামগঞ্জে ৫৪ জন, হবিগঞ্জে ৪১ জন ও মৌলভীবাজারে ২৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ২৫২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে ২০০ জন সিলেট জেলার। এছাড়া হবিগঞ্জের পাঁচজন ও মৌলভীবাজারের ৪৭ জন রয়েছেন।
Advertisement
এ নিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭১২ জনে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮ হাজার ৯৮৬ জন, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ১২ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৩৫৫ জন, মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ২৩৭ জন ও ওসমানী হাসপাতালে ১২২ জন রয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আটজন রোগী।
এ নিয়ে বিভাগে করোনায় মারা গেলেন মোট ৬০৬ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৪৮৪ জন, সুনামগঞ্জে ৪৩ জন, হবিগঞ্জে ২৮ জন, মৌলভীবাজারের ৫০ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে সিলেটের চার জেলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৬ জন, সুনামগঞ্জে ৩৫ জন, হবিগঞ্জে ২১ জন ও মৌলভীবাজারে ২১ জন রয়েছেন।
ছামির মাহমুদ/এসএমএম/জিকেএস