জোকস

সপ্তাহের রসালাপ : বিয়ের আগেই ঘাড় মটকানো

 

বিয়ের কার্ড ছাপানো শেষ হতে না হতেই অতিথিরা পাল ধরে এসে পড়ল গণেশের বাড়ি। অতিথিদের কর্তৃত্বে ছিলেন গণেশের এক পিসি, যিনি কি-না গণেশের বাবার শ্রাদ্ধের যাবতীয় খরচ বহন করেছিলেন। গণেশ সেসব টাকা ফেরত দেওয়ার কথা তুলতেই কষে একটা ধমক খায় পিসির কাছে।

Advertisement

অতিথিদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এত ছোট একটা বাড়িতে এত মানুষ কীভাবে থাকছে, ভাবতেই গণেশের অবাক লাগে। আরও অবাক কাণ্ড হলো, এদের বেশির ভাগকেই গণেশ চেনে না। মাঝেমধ্যে দু-একটা মুখ চেনা চেনা ঠেকে এবং সে অবাক হয়ে আবিষ্কার করে, তার যেসব দূরসম্পর্কের বোন কদিন আগে নিজেরাই ছিল খুকি, তারা আজ এক গণ্ডা ছানাপোনার মা।

লম্বা মতো চটপটে একটি মেয়েকে গণেশ কিছুতেই চিনতে না পেরে জিজ্ঞেস করল, ‘পিসি, এই মেয়েটি কে?’‘ও ফুলকুমারীর জ্যাঠতুতো বোন।’‘ফুলকুমারীটা আবার কে?’‘ফুলকুমারী তোর দূরসম্পর্কের খুড়তুতো বোন।’সম্পর্কের ফিরিস্তি শুনে গণেশের বিষম খাওয়ার জোগাড়। বিয়ের আগের দিন বাড়ির সব মেয়ে হিন্দি গান গেয়ে গণেশকে জাফরান দিয়ে স্নান করাতে লাগল।

তখন প্রথমবারের মতো প্রশ্নটা করল গণেশ, ‘আচ্ছা পিসি, প্রতিদিন এতগুলো লোকের খাবার আসছে কোথা থেকে?’‘কেন? রাম বাবুর হোটেল থেকে!’‘খরচাপাতি কে দেবে?’‘তুমি। রাম বাবু বলেছেন, নানা ঝামেলায় তোমার মাথাটা এমনিতেই গরম। বিলের ব্যাপারে বিয়ের পরই তিনি তোমার সাথে কথা বলবেন।’‘হায় ভগবান! এখনো বিয়ে হলো না, এরই মধ্যে বুড়ো আমার ঘাড় মটকাতে শুরু করেছে!’ মনে মনে ভাবল গণেশ।

Advertisement

লেখা: ভি এস নাইপলছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

এসইউ/এমএস

Advertisement