দেশজুড়ে

ফাঁকা কুমিল্লার মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলছে গাড়ি

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। তবে এবারের বিধিনিষেধ আগের তুলনায় অনেক বেশি কড়াকড়ি হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

Advertisement

তবে কঠোর বিধিনিষেধের আগেরদিন কোনো চাপ নেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কিলোমিটার অংশে। ঈদের পরদিন ঢাকামুখী ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া যাত্রীবাহী তেমন কোনো গাড়ি চোখে পড়েনি। ঈদের পর দিন অনেকটাই ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে জাতীয় এ মহাসড়কটি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা, চান্দিনা ও দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

যাত্রীবাহী বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। যার কারণে সড়কে যাত্রীর দেখা মিলছে কম। এছাড়া করোনার ভয়ে মানুষ প্রাইভেট বা মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় যাচ্ছে। যাত্রী না থাকায় বাসের সংখ্যাও কম।

Advertisement

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘মহাসড়কে সকাল থেকেই যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। যাত্রীবাহী থেকে ব্যক্তিগত পরিবহনের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে মহাসড়কে মানুষের জানমাল রক্ষায় হাইওয়ে পুলিশ অবস্থান করছে।’

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক বলেন, ‘দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা একদম ফাঁকা। বিকেলের দিকে সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে। তবে সকাল থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, ঈদ পরবর্তী সময়ে মহাসড়কে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য হাইওয়ে পুলিশের ১০টি পেট্রল টিম, দুটি কন্ট্রোল রুম ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দ্রুত সরিয়ে নিতে রাখা হয়েছে পাঁচটি রেকার এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসজে/এমএস

Advertisement