প্রথম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য আজ রাত ১২টার মধ্যেই অপসারণের কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
Advertisement
বুধবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় ডিএনসিসির ভাটারা (সাঈদ নগর) এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা পুরো ফোর্স নিয়ে নেমে পড়েছি। আমি নিজে, আমার কর্মকর্তা এবং আমার সকল কাউন্সিলর নেমেছেন। আমি বলেছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এটাও বলেছি, যে ওয়ার্ড আগে পরিষ্কার করতে পারবে সেই কাউন্সিলরের জন্য বিশেষ পুরস্কার আছে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা তিন দিনের জন্য কোরবানি। অনেকেই আজ, কাল এবং পরশুও দেবে। আমরা ধরে নিয়েছি, আজ ৯০ শতাংশ হবে। এখানে দুটি চ্যালেঞ্জ। প্রথমত, কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার। দ্বিতীয়ত, হাট যারা নিয়েছে তাদের হাট পরিষ্কার করা। আমরা কাজটি করছি।’
Advertisement
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা টার্গেট নিয়েছি, আজ রাত ১২টার মধ্যে সব কাউন্সিলরকে যার যার এলাকা পরিষ্কার করার জন্য। আমি মনে করি, আমাদের সব কর্মী কাজ করবে।’
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা কোরবানি দিয়ে বর্জ্যটাকে ড্রেনে ফেলবেন না। ড্রেনটাকে ক্লিয়ার রাখুন।’
মেয়র বলেন, ‘এখন কিন্তু এই বৃষ্টি, এই রৌদ্র। এডিস মশার জন্য কিন্তু এটাই মুখ্য সময়। আমরা যদি ড্রেন বন্ধ করে দিই তাহলে এডিস মশা বেড়ে যাবে। তাই ড্রেনকে প্রবাহিত রাখুন। ড্রেন বন্ধ থাকলে পানি উপরে উঠে যাবে।’
মেয়র বলেন, ‘নগরবাসীকে ৬ লাখ ৭০ হাজার পলিব্যাগ দেয়া হয়েছে। সেই পলিব্যাগে মাংস রেখে বর্জ্য যদি ড্রেনে ফেলে দেয়া হয় তা কিন্তু হতে পারে না। আমি এখন বিভিন্ন এলাকায় যাব। আমি এখন যাব এবং দেখব। যদি কোথাও বর্জ্য পাই সেখানে সেই বর্জ্য তো পরিষ্কার করবোই না বরং উল্টো বর্জ্য এনে ফেলে দেবো। একটি বাড়ির জন্য নগর কিন্তু শেষ হয়ে যেতে পারে না।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যে কোরবানি হবে সেগুলো রাত ১২টার মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলবো। এটাই আমার টার্গেট। এবার তিনটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা মাঠে কাজ করছি। সেগুলো হচ্ছে- করোনা, ডেঙ্গু ও কোরবানি। ১১ হাজার ৪০০ কর্মী মাঠে কাজ করবো।’
এমএমএ/এমআরআর/এমএস