সাহিত্য

জোবায়ের মিলনের তিনটি কবিতা

বিষণ্ন বিলাপ

Advertisement

বাবা থাকলে অনেক কথা বলতেনএখন নৈঃশব্দ্যে ভরা ঘর—কবরের মতো;আমি কবরে নেমে থাকি সারা দিন—

প্রিয়তমা ঘুম ভাঙিয়ে দিলে মনে পড়ে লেবুঞ্চুস, চিনির ঘোরা, তক্তা বিস্কুট,নতুন জামা, সাদা জুতা, মুঠো ভরা কয়েন—তখন পাঁজর তলে বোগলায়—মিহিন হাহাকার।আর ইমামের পাঠ করা তাকবীরনিয়ে যায় আঙুল ধরা সকালে... আমিসেই সকালটা আর ফিরে পাই না, ইহজাগতিককোনো বারান্দায়।

****

Advertisement

অতীত খসড়া

তোমাকে তারা পায়যারা প্রত্যাশা করেনি দুঃস্বপ্নেও...

স্বপ্নের ভিতরে ছিলে বিশ্ব ভ্রমণের আনন্দঅজেয়কে জয়ের হিম্মতঅনলে ঝাঁপ দেওয়ার দুর্দান্ত অভয়,আকাঙ্ক্ষার মন্দির ছিলে শয্যা সান্নিধ্যে;নীড় পাতনি অহংকারে।অমূল্যে নয়, মূল্য দিয়ে কিনে নেয় যখন যে-কেউ,বিলাপে ভেসে যায়—অবল নেত্র;শোক হয় মৃতপ্রায় পালকের জন্য।

তাই তারাই পাক, যারা পায় না সহজেসহজেই লাল হয়ে ওঠো তুমি—ডুমুরের ফল!

Advertisement

****

সোনার বিস্কুট

কাঁচুলির নিচে লুকিয়ে রাখো সোনার বিস্কুটঅথচ আমি অর্থকষ্টে ভুগী সারা বছরকী নির্দয় তুমি! কী পাষণ্ড তুমি!পুঁজিবাদ আগলে রাখো উরুর ভাঁজেনিতম্বে প্রকাশ করো ট্রাম্পিয়ান মতবাদনেতানিয়াহুর কৌশলে দখল করো অসহায়, দরিদ্র আমায়;অথচ আশ্রয়হীন উদ্বাস্তু আমি।তাকাও—নিম্নবিত্ত এ আমার দিকেহিমকাতর তহবিলে দান করো নাভির উষ্ণতা;বেঁচে থাকি—তোমার উষ্ণতা আশ্রয় করে।

কার্পণ্য করে যদি না-ই দাও কিছুত্রিনদে যদি না-ই ভাসাও নাওদৌলতে ভরা সিন্ধুক দিয়ে কী করবে শুনি?দুর্ভিক্ষ, খরায় হা হয়ে আছিহাতের মুঠোয় তুলে দাও না তোমার রঙিন কৌমার্য?চাতক পাখি আমি, চেয়ে আছি তৃষ্ণার্ত নেত্রে।

এসইউ/জেআইএম