রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। ঈদ যাত্রার শেষ দিন সিরাজগঞ্জের সড়ক-মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকলেও গাড়ির চাপ রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সড়ক এখন ট্রাক-পিকআপের দখলে। বাসের চেয়ে এখন বেশি যাত্রী আসছেন এ দুটি যানে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ ট্রাক ঢাকায় কোরবানির পশু রেখে যাত্রী নিয়ে ফিরছে। এতে যাত্রীরা অল্প টাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। অন্যদিকে বাড়তি আয় হচ্ছে চালকদেরও। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ট্রাক-পিকআপের যাত্রীদের কষ্ট কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ট্রাক যাত্রী মো. সোবাহান আলী বলেন, ‘সামান্য বেতনে একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি করি। ছেলে মেয়ে ও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। ঢাকার দীর্ঘ যানজট পেরিয়ে এসেছি। তবে মহাসড়কে গাড়ি অনেকটাই স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘হাটিকুমরুল এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিতে ভিজেছি। তবুও বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারবো এতেই আনন্দ।’
মাহমুদা খাতুন নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘যানজট-বৃষ্টি সব মিলে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। কখন যে বাড়িতে পৌঁছাবো বুঝতেছি না।’
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঈদ যাত্রার শেষ দিনে মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে যানচলাচল স্বাভাবিক। মহাসড়কে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকলেও যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মুলিবাড়ি, কড্ডা ও নলকা সেতু এলাকায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
Advertisement
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএইচ/এমএস