জাতীয়

ঈদ-লকডাউনে ১৯ দিনের ‘ছুটির ফাঁদে’ দেশ

টানা ১৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি, এরপর করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন এবং তার সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দীর্ঘ এই ছুটিতে যাচ্ছে দেশ।

Advertisement

আগামীকাল বুধবার (২১ জুলাই) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। অর্থাৎ ঈদের তিন দিন (২০, ২১ ও ২২ জুলাই) ছুটি। এরপর ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। ফলে ঈদের ছুটি মিলে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সবাই।

অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ১৪ দিন থাকছে বিধিনিষেধ। এ সময় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা।

Advertisement

আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পরদিন শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে বলা যায় টানা ১৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশ।

এদিকে, দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সারাদেশে আরও ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৩২৫ জনে।

এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৭৯ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জনে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

এর আগে গতকাল সোমবার (১৯ জুলাই) ২৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।

এইচএস/এমআরআর/এমএস