জাতীয়

করোনায় প্রাণ গেল আরও ২০০ জনের

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সারাদেশে আরও ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৩২৫ জনে।

Advertisement

তাদের মধ্যে পুরুষ ১১১ জন ও নারী ৮৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে ছয়জন মারা যান।

এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৫৭৯ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৯ জনে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

এর আগে গতকাল সোমবার (১৯ জুলাই) ২৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ৪০ হাজার ৯৮২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৯ হাজার ৫১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৯টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ৩৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ৯৯৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০০ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন, সত্তোর্ধ্ব ৩৫ জন, আশির্ধ্ব আটজন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।

বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫১ জন, চট্টগ্রামে ৪৯ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, খুলনায় ৫০ জন, বরিশালে সাতজন, সিলেটে ১১ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে আটজনের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এমইউ/বিএ