দুই ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
Advertisement
হজরত আবু উবায়দ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, তিনি হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনুহর সঙ্গে কুরবানির ঈদের দিন ঈদগাহে উপস্থিত ছিলেন। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু খুতবার আগে (ঈদের) নামাজ আদায় করেন। এরপর উপস্থিত জনতার সামনে খুতবা দেন। তখন তিনি বলেন-
'হে লোক সকল! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুই ঈদের দিনে রোজা পালন করতে নিষেধ করেছেন। তার মধ্যে একটি হলো- তোমাদের রোজা ভাঙার দিন অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন। আর অন্যটি হলো- এমন দিন যেদিন তোমরা তোমাদের কুরবানির পশুর গোশত খাবে।' (বুখারি)
এ হাদিসের আলোকে এটি সুস্পষ্ট যে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন তথা ১ হিজরি বছরের ১ শাওয়াল এবং ১০ জিলহজ রোজা রাখা নিষিদ্ধ। এ দিন রোজা না রাখাই সর্বোত্তম ইবাদত ও আমল।
Advertisement
সুতরাং ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা তথা আল্লাহর জন্য পশু কুরবানির দিন। এ দিন ঈদের নামাজের পর কুরবানি অপেক্ষা কোনো ইবাদতই উত্তম যেমন নেই আবার এ দিনে কুরবানির গোশত খাওয়ার জন্যই মুমিন মুসলমানের জন্য রোজা রাখাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রমজান মাস জুড়ে আল্লাহর বিধান পালনে সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের দিন উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। এ দিনও রোজা না রেখে উত্তম খাবার ও মিষ্টান্ন খেয়ে আনন্দ উদযাপন করার দির্নেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি। দুনিয়াবাসীকে এটি বুঝানো যে, মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর নির্দেশ পালনে দীর্ঘ এক মাস রোজা পালন করে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ উদযাপন করে থাকেন।
এ কারণেই মুমিন মুসলমান শাওয়ালের ১ তারিখ এবং জিলহজের ১০ তারিখ হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদ উৎসব পালন করেন। রোজা রাখা থেকে নিজেদের বিরত রাখার মাধ্যমে ইবাদত করে থাকেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ১ শাওয়াল ও ১০ জিলহজ রোজা না রেখে হাদিসের নির্দেশনা মেনা চলা ও যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম