খাদ্যপণ্য, চামড়া ও ওষুধ খাত ছাড়া গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানা ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বন্ধই থাকছে। কারণ এই তিনটি খাতকে বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত ঘোষণা করে সোমবার (১৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
Advertisement
যদিও এর আগে বিধিনিষেধের মধ্যে রফতানিমুখী পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছিল মালিকরা। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার গত ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে। শিথিলতা শেষে ঈদের পর আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধও দেয়া হয়েছে।
কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে গত ১৩ জুলাই জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সারাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
Advertisement
পরে গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতির নেতৃত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি জানানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ১৭ জুলাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু ওইদিন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
এরমধ্যে তিনটি খাতকে বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানালো সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াকরণ মিল-কারখানা এবং কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।
Advertisement
এছাড়া ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএমএম/এমআরআর/এমএস