পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার একেএম ইউসুফ আলম (৫৯) র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বুধবার রাত আটটার দিকে দুবলার চর শুঁটকি পল্লীর বন অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর সদস্যরা ওই সুন্দরবন বিভাগের এ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে শরণখোলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ইউসুফ আলম গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।শরণখোলা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া বন কর্মকর্তা জামালপুর সদর থানার চাঁনপুর হরিণাকান্দা গ্রামের মৃত আ. খালেক মাস্টারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা রয়েছে। মামলা নং-১৭/২০১৫ আইসিটি (১) বিডি ফরম নং-৩।শরণখোলা থানা পুলিমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম মিয়া জাগো নিউজকে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মঙ্গলবার থানায় একটি ফ্যাক্স আসে। ওই বার্তায় শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার একেএম ইউসুফ আলমকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়।ওসি আরো জানান, ফ্যাক্সবার্তা পাওয়ার পরে র্যাব-৮ এর সহযোগিতা চাওয়া হয়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার শুঁটকি পল্লীর বন অফিস থেকে তাকে করে র্যাব।র্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর আদনান কবীর জাগো নিউজকে জানান, ইউসুফ আলম নামের একজন যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি সুন্দরবনে লুকিয়ে আছেন। শরণখোলা থানা পুলিশ তাদেরকে এমন তথ্য দেয়। পরে ওইদিন রাতে র্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আক্তারের নেতৃত্বে তাকে আটক করে দুপুরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।বাগেরহাট পূর্ব বনভিাগের ডিএফও মো. সাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্টেশন কর্মকর্তা ইউসুফ আলম গ্রেফতারের বিষয়টি জেনেছি। মামলার কাগজপত্র পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।গ্রেফতার হওয়া বন কর্মকর্তা বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার একেএম ইউসুফ আলম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি খুবই ছোট ছিলেন দাবি করনি।তিনি বলেন, ওই বয়সে কারো পক্ষেই মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত কার সম্ভব নয়। ষড়যন্ত্রমূলক তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি কোনো মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন না বলেই সরকারি চাকরি করেছেন। পালিয়ে যাননি বলেও শরণখোলা থানা হাজতে বসে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন।
Advertisement
শওকত আলী বাবু/এমজেড