ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
Advertisement
তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। যখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি, তখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।’
সোমবার (১৯ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে তাকে সংবর্ধনা দেয় মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার (১৮ জুলাই) তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। প্রায় এক যুগ ধরে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. শামসুল আলম টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন।
Advertisement
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘জিইডি সদস্য থাকার সময় অনেক প্ল্যান করেছি। প্ল্যান নিয়ে সাধারণত সমালোচনা হয়। আমার প্ল্যানগুলো সর্বজন গৃহীত ছিল। আমি যখন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি তখন এটা সব মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার পেয়েছে।’
১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের ১ জুলাই প্রেষণে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করা হয়। শামসুল আলমের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, আপনি থাকেন। আমাকে উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে থাকতে চেয়েছি। আমাকে প্রধানমন্ত্রী যে মর্যাদা দিয়েছেন, আমি তার প্রতিদান দেব। আমি দীর্ঘদিন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। এ স্বচ্ছতা অক্ষুণ্ন রাখব।’
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সঙ্গে নতুন একটা ইঞ্জিন যোগ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও গতি পাবে। শামসুল আলম আমার কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আমাদের টিম লিডার প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে কাজের গতি বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
Advertisement
এসএম/এএএইচ/এমএস