সামনেই কুরবানির ঈদ। অনেকেই হয়তো কুরবানির পশু কিনেছেন। অনেকে আবার শেষ মুহূর্তের বাজার থেকে কুরবানির জন্য পশু কিনবেন। পশু কেনার পর খাবারের জন্য নিশ্চয়ই ভাবছেন। কেননা পশুর খাবার খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তাই জেনে নিন কুরবানির জন্য কেনা পশুকে কী ধরনের খাবার খাওয়াবেন—
Advertisement
প্রথমেই মনে রাখবেন, কুরবানির জন্য কেনা পশুটি একেবারে আবদ্ধ জায়গায় রাখবেন না। একটু খোলামেলা জায়গায় রাখলে ভালো হয়। বাড়ি আনার পর প্রথমেই পশুকে পানি জাতীয় খাবার দিন। মনে রাখবেন, পশুকে পানি জাতীয় খাবার দিলে জবেহ করার পর চামড়া ছাড়াতে সুবিধা হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাজার থেকে কিনে আনা পশুর প্রথম দিকে খাবার গ্রহণে অনীহা হতে পারে। কারণ পশুটি নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারে না। এছাড়া ক্রেতা পশুটির পূর্বের খাদ্যাভ্যাস জানেন না। তাই কেনার সময়ই বিক্রেতার কাছ থেকে পশুটির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিলে ভালো হয়।
সাধারণত পশু পছন্দ করে এমন খাবার অল্প অল্প করে দিয়ে অভ্যাস করতে হবে। বেশি বা কম খাবার দেওয়া পশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে গরু কিনলে পরিষ্কার পানি, গমের ভুষি, সরিষায় খৈল এবং চালের গুড়া দেওয়া যেতে পারে। আবার ছাগলের ক্ষেত্রে অল্প ভাত, কাঁঠালের পাতা, চালের গুড়া ও গম ভাঙা দেওয়া যেতে পারে।
Advertisement
মনে রাখতে হবে, ঘরের পচা ও বাসি খাবার পশুকে খাওয়াবেন না। এতে পশুর পেট ফাঁপা রোগ হতে পারে। বর্তমানের বেশিরভাগ পশু খামারে বড় হয়ে থাকে। খামারের পশুর ক্ষেত্রে সচেতনভাবেই খাবার দিতে হবে। অপরিকল্পিত খাবারের কারণে পশু অসুস্থ হয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেবে। তাই পরিষ্কার ও টাটকা খাবার, বিশুদ্ধ পানি খেতে দিতে হবে।
এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কোথায় পাবেন কুরবানির জন্য কেনা পশুর খাবার? গ্রামে থাকলে পশুর খাবারের জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না। তবে যারা শহরে থাকেন, তারা স্থানীয় বাজার থেকে কিনতে পারবেন পশুর খাবার। এছাড়াও ঈদের আগে বিভিন্ন এলাকার বাজারে বা রাস্তার পাশে পশুর খাবার নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
অনেক সময় কুরবানির জন্য বসা নির্ধারিত পশুর হাটেও এসব খাবার পাওয়া যায়। সেখান থেকেও খড়-কুটা, ভুষি, খৈল, কাঁচা ঘাস, শুকনা ঘাস ও কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। মনে রাখবেন, এলাকাভেদে এসবের দাম বিভিন্ন রকম হয়। তবে দু-তিন দিনের জন্য হলেও পশুর যত্ন নিতে হবে। সুস্থ-সবল রাখার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসইউ/জিকেএস
Advertisement