দেশজুড়ে

রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৮ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ২১৫ জন। একইসময়ে বিভাগে আরও ৮২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

Advertisement

শনিবারের তুলনায় বিভাগে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে। এর আগেরদিন বিভাগে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু ও ৩৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের পাঁচজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, নীলফামারীর দুজন, গাইবান্ধার দুজন, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের একজন করে ব্যক্তি রয়েছেন।

Advertisement

একইসময়ে বিভাগে ২ হাজার ৭৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে রংপুরে ২৪৬ জন, গাইবান্ধায় ১৬৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯৬ জন, পঞ্চগড়ে ৮৬ জন, দিনাজপুরে ৬৮ জন, কুড়িগ্রামে ৬৬ জন, নীলফামারীতে ৫৭ জন ও লালমনিরহাটে ৩৮ জন রয়েছেন। আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এ নিয়ে বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪০ জনে। এরমধ্যে দিনাজপুরে ২৩৯ জন, রংপুরে ১৫২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩৭ জন, নীলফামারীতে ৫৩ জন, লালমনিরহাটে ৪৬ জন, পঞ্চগড়ের ৩৮ জন, কুড়িগ্রামের তিনজন ও গাইবান্ধার ৩৭ জন রয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৯ জন।

এছাড়াও নতুন শনাক্ত ৮২১ জনসহ বিভাগে মোট ৩৬ হাজার ৯২৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে দিনাজপুরে ১১ হাজার ২১২ জন, রংপুরের ৮ হাজার ৯১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ১৩৬ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ১২৩ জন, নীলফামারীতে ২ হাজার ৭৯৩ জন, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৬৫০ জন, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৯৭১ জন ও পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৯৫৩ জন রয়েছেন।

করোনা শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

Advertisement

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।

জিতু কবীর/এসএমএম/এএসএম