খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইমলাম বলেছেন, কেবল মাত্র আইন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত ঘটনা রোধ করা যাবে না। এজন্য সবাইকে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৫ উপলক্ষে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।কামরুল ইসলাম বলেন, মোড়ল দেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলে না অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান ওয়াচের মত সংগঠনগুলো। কারণ এরা ওদের টাকায় চলে। ওরা যা বলে এরাও তাই বলে।অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান ওয়াচের মত মোড়ল দেশের সুরে মানবাধিকারের কথা বললে চলবে না। সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষভাবে সবার অধিকার নিয়ে কথা বলতে হবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে।প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওই মোড়ল দেশ অপরাধীদের না ধরেই হত্যা করে। অথচ এসব সংগঠনগুলো সেক্ষেত্রে মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা বলে না। আর বাংলাদেশে অস্ত্রবাজি করতে গিয়ে ক্রসফায়রে মারা গেলে অপরাধীদের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।৬৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে শিমলাচুক্তি অনুযায়ী ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানকে চাপ সৃষ্টি করতে সকল মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে চাপ প্রয়োগ করার আহ্বানও জানিয়েছেন কামরুল ইসলাম।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন সাংসদ র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম, সংগঠনের মহাসচিব আবেদ আলী প্রমুখ।এএস/একে/আরআইপি
Advertisement