আন্তর্জাতিক

লকডাউনেও বাড়ছে করোনা, কঠোর হচ্ছে সিডনি

লকডাউনের মধ্যেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সবধরনের বিল্ডিং সাইট বন্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় খুচরা বেচাকেনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা কর্মচারীদের অফিসে আসতে বাধ্য করবে তাদেরকে জরিমানার হুমকি দেয়া হয়েছে।

Advertisement

সিডনি শহরেরর পশ্চিমাংশের হাজার হাজার মানুষকে কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কারণ সেখানে সব থেকে বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

কর্তৃপক্ষ জনিয়েছে, সুপামার্কেট, ফার্মেসি এবং হার্ডওয়্যারের দোকান খোলা থাকবে। তবে অবশ্যই ৩০ জুলাই পর্যন্ত সকল বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ থাকবে।

জরুরি কাজ ছাড়া সিডনির তিন জেলার মানুষ কাজের জন্য কোথাও যেতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা কর্মীদের অফিসে আসতে বাধ্য করবে তাদের ১০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হবে।

Advertisement

অস্ট্র্রেলিয়ার সিডনিতে ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করে। দেশটিতে ২৬ জুন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে যা ৩০ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। লকডাউন চলাকালে আশপাশের জেলাসহ শহরটিতে ১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিডনিতে ১১১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যদিও এর আগে এ সংখ্যা ছিল ৯৭। সিডনিতে নতুন ১ জনসহ এ বছরে মোট ৩ জনের মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে করোনায় মোট ৯১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান টেলিভিশ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমাদের রাজ্যে এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেরি চ্যান্ট জানিয়েছেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Advertisement

রাজ্যের উপ-পুলিশ কমিশনার গ্যারি ওয়ারবয়েস বলেছেন, সিডনি এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

সিডনির পাশের রাজ্যে ভিক্টোরিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা ছয়জন থেকে বেড়ে ১৯ জন হয়েছে। ফলে এখানে আগামী মঙ্গলবার লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বৃদ্ধি করা হতে পারে। ভিক্টোরিয়া এবং সিডনিতে সমন্বিতভাবে ১২ মিলিয়ন মানুষ বাস করে। তার মানে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ লকডাউনের কবলে পড়েছে।

অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে দেশটি। কারণ করোনা মহামারি শুরুর পর তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, নাগরিকদের ঘরে থাকতে বাধ্য করা এবং অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়ার কাজগুলো সফলভাবে করতে পেরেছিল।

এমএসএম/এমআরএম/এমকেএইচ