মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ২০৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে।
Advertisement
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ৭৯ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪১ জন এবং বাড়িতে দুইজন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও আট হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনে।
শনিবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
এর আগে শুক্রবার (১৬ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সময়ে নতুন ১২ হাজার ১৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। গত ১১ জুলাই রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে ৩০ হাজার ১৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৯ হাজার ১১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ১৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট হাজার ৮২০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা নয় লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০৪ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩৫ জন, আশির্ধ্ব ১৫ জন এবং নব্বইয়ের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৮২ জন, চট্টগ্রামে ৩২ জন, রাজশাহীতে ২০ জন, খুলনায় ৪৯ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এমইউ/এএএইচ/জিকেএস