বাবা-মাসহ পরিবারের প্রত্যেক সদস্য টিকা না নিলে সন্তানদের স্কুলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। করোনাভাইরাস রোধে এমনই শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের স্থানীয় সরকারগুলো। কিছু কিছু শহর ঘোষণা দিয়েছে, টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের হাসপাতাল-সুপারমার্কেটের মতো জায়গাতেও প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। খবর বিবিসির।
Advertisement
চলতি বছর শেষের আগেই চীন তার প্রায় দেড়শ কোটি জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরে ভিন্ন ভিন্ন নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে চীনের গুয়াংজি প্রদেশের এক নোটিশে বলা হয়েছে, যারা এখনো টিকা নেননি, তাদের সন্তানদের স্কুলে ফেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ঠেকাতে দ্রুত টিকা নেয়া উচিত। এই নীতি সব বয়সী শিক্ষার্থীর জন্য প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিশে।
জিয়াংজি ও হেনান প্রদেশের সরকারও অনেকটা একই নির্দেশনা জারি করে বলেছে, আগামী শরৎ সেমিস্টারে কেবল সেসব শিক্ষার্থীই ক্লাসে ফিরতে পারবে, যাদের পরিবার টিকা নিয়েছে।
Advertisement
শাংজি প্রদেশের হ্যাংচেং শহরের নীতি বলছে, টিকা না নিলে কোনো ব্যক্তি হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ঢুকতে পারবে না।
টিকাগ্রহণের সময়সীমা এলাকা ভেদে ভিন্ন হলেও তাদের বেশিরভাগই জুলাই মাস শেষের আগে টিকা নিতে বলেছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দেশটির স্কুল-কলেজগুলোতে ফের পাঠদান শুরুর কথা রয়েছে।
তবে স্থানীয় সরকারগুলোর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। চীনের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম উইবোতে এক ব্যক্তি বলেছেন, প্রথমে তারা বলেছে, টিকাগ্রহণ ঐচ্ছিক বিষয়। এখন দেখা যাচ্ছে এটি বাধ্যতামূলকই।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যমতে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৪০ কোটি ডোজের বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। তবে ঠিক কতজন টিকা নিয়েছেন তা পরিষ্কার বলা হয়নি।
Advertisement
কেএএ/এমকেএইচ