বিশেষ প্রতিবেদন

বিশ্বাস যে হাসপাতালের একমাত্র ভরসা

রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বেশির ভাগ টয়লেটের দরজা নেই। যে কয়েকটার দরজা অাছে সেগুলোতে অাবার ছিটকিনি নেই। অার এসব কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে অাসা রোগীসহ চিকিৎসাধীন রোগীরা।বৃহস্পতিবার হাসপাতালটির প্রতিটি ফ্লোরের টয়লেটগুলো ঘুরে দরজা ও ছিটকিনিবিহীন চিত্র দেখা যায়। এসব না থাকায় রোগীদের টয়লেটে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত একজনকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হচ্ছে টয়লেটের বাইরে পাহারা দেয়ার জন্য।হাসপাতালের ২য় তলার টয়লেটে যাওয়ার সময় বাইরে এক বয়স্ক নারীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তিনি জানালেন প্রায় ২০ মিনিট ধরে সেখানে অবস্থান করছেন। ভেতরে কেউ গেছে ভেবে টয়লেটের ভেতরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না তিনি। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি এই প্রতিবেদককেই অনুরোধ করলেন ভেতরে কেউ অবস্থান করছেন কি না সেটা দেখে অাসার জন্য।এরপর তিনি মায়ের অাবদার করে বললেন, বাবা তুমি যদি একটু বাইরে থাকো তাহলে অামি টয়লেটে যেতে পারি। অভয় দিলে তিনি টয়লেট থেকে এসে ধন্যবাদ জানান।বহির্বিভাগে দরজাবিহীন টয়লেটের ছবি তোলার সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অাসা জামাল নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বললেন, বাইরে থেকে হাসপাতালটি দেখতে যতটাই না সুন্দর ভেতরে এর অবস্থা ততটাই খারাপ। এত সুন্দর একটা হাসপাতালের টয়লেটে দরজা ও ছিটকিনি নেই এটা ভাবা যায় না।জামাল অারো বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে পরপর তিন দিন দেরি করে অফিসে যেতে হয়েছে অামাকে।রোগীদের এসব অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক জিএম গোলাম মোস্তফার কার্যালয়ে গেলে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।পরে তার ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, স্যার মিটিংয়ে অাছেন। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পরিচালকের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটি চাওয়া হলে তিনি বলেন, স্যারের নম্বর অামার কাছে নেই। পরে অারেকবার বলেন, স্যারের অনুমতি ছাড়া নম্বর দেয়া যাবে না। এ ঘটনার অাধা ঘণ্টা পর হাসপাতাল পরিচালকের টেলিফোন নম্বরে ফোন দিলেও কেউ ধরেননি।এমএএস/এসআইএস/এআরএস/পিআর

Advertisement