মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ১৮৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৪৬৫ জনে।
Advertisement
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১২ হাজার ১৪৮ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জনে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে, ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ২২৬ জনের মৃত্যু হয়। বুধবার ২১০ জন, মঙ্গলবার ২০৩, সোমবার ২২০ ও রোববার রেকর্ড ২৩০ জন মারা যান। তার আগে ১০ জুলাই (শনিবার) ১৮৫, ৯ জুলাই (শুক্রবার) ২১২ ও ৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৫টি ও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৯৪৭টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
Advertisement
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকায় ৬৮, খুলনায় ৩৯, চট্টগ্রামে ৩৬, রাজশাহীতে ১৪, বরিশালে ৮, সিলেটে ৯, রংপুরে ৬ এবং ময়মনসিংহে ৭ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১১৩ এবং ৭৪ জন নারী। এদের মধ্যে ১২ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
Advertisement
এমইউ/জেএইচ/জেআইএম