তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। তবে নিজেদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে শিশু-কিশোর ও তরুণদের চিন্তা-ভাবনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিতে হবে।’
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (১৬ জুলাই) ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) উদ্যোগে শিশুদের জন্য আয়োজিত ‘অনলাইন প্রতিভা পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক চাহিদায় রূপান্তর হয়েছে। শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখতে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের সন্তান ইন্টারনেটে কী করছে, তা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদের। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন করতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
Advertisement
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারে এখন সব কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বাসায় থেকে অনলাইনে মুক্তপাঠের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারছে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতেও খুব সহজেই ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে করোনাকালীন সেবা প্রদান করছে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে গরুর হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে লাখ লাখ পশু বিক্রি হচ্ছে। ইন্টারনেটকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরামর্শে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা আরো বেশি সচেতন হবেন।’ প্রতিমন্ত্রী শিশুদের নিযে এমন একটি আয়োজনে জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর চাইল্ড রাইটস গভানের্ন্স এবং চাইল্ড প্রটেকশন সেক্টর-এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাগেরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, হ্যাপি ড্রিমস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সুষ্ময় দাস।
Advertisement
সমাপনী অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে অংশ নেয়া শিশু এবং তরুণদের মধ্য থেকে ১৪৫ জনকে জুম অনলাইনে যোগদানের সুযোগ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এইচএস/এএএইচ/জেআইএম