সকাল সাড়ে ১০টায় যখন টস করলেন জ্যাসন হোল্ডার, তখন তিনি ভাবতে পারেননি টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেবেন স্টিভেন স্মিথ! টস জিতলে তিনি ফিল্ডিংই নিতেন। টস না জিতেও চাওয়ার সঙ্গে মিলে (ফিল্ডিং করাটা) যাওয়ায় আনন্দিতই হয়েছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। দুই ঘণ্টা পর, হোল্ডারের অনুভূতি আরও প্রসস্ত। ১২১ রানে অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হাসিটাও যে কোন প্রতিপক্ষ অধিনায়কের চওড়া হওয়ার কথা।কিন্তু দিন শেষে আর সেই চওড়া হাসি হোল্ডারের মুখে অবশিষ্ট থাকলো না। প্রথম সূর্য যে পুরো দিনের বার্তা দেয় না সেটা আরও একবার প্রমাণ করলো অস্ট্রেলিয়া। হোল্ডারের হাসি কেড়ে নিয়ে দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৩৮ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্টে যে নিশ্চিত ব্যাকফুটে চলে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিন টেস্টের সিরিজের প্রথমদিনের প্রথম সেশনে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের ওপর যা একটু আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছিল ক্যারিবীয় বোলাররা। কিন্তু মিডল অর্ডারের ওপর কোনভাবেই আর আঁচড় লাগাতে পারেনি তারা। বরং, অ্যাডাম ভোজেস এবং শন মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাড়াড়ে চড়ছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনই চারশ’ রান পার হয়ে গেছে অসিদের।টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। জো বার্নস আর ডেভিড ওয়ার্নার মিলে ওপেনিং জুটিতে করেন ৭৫ রান। ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান জো বার্নস। ১০৪ রানের মাথায় আউট হন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ৩২ বলে ১০ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর কিছুক্ষণ পর, দলীয় ১২১ রানে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নারও। ৬১ বলে ৬৪ রান করেন তিনি।২৩.৪ ওভারে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর উল্লাসটাই ছিল সর্বশেষ। এরপর জেরোমে টেলর, কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল কিংভা জ্যাসন হোল্ডারদের হতাশাই শুধু বাড়িয়েছেন অ্যাডাম ভোজেস আর শন মার্শ। দু’জন মিলে খেলেন ৬৫.২ ওভার। ৩১৭ রানের জুটি গড়ে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত মার্শ-ভোজেস জুটি।দিন শেষে ১৭৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন অ্যাডাম ভোজেস। ক্যারিয়ারে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং নিজের সর্বোচ্চ ১৩০ রানের ইনিংসকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। শন মার্শ অপরাজিত রইলেন ১৩৯ রানে। এটাও মার্শের ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি।আইএইচএস/পিআর
Advertisement