অর্থনীতি

বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হতে হবে

বাংলাদেশে যেসব বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, দেশে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা শুধু ব্যবসায় মুনাফা করে যাচ্ছে। কিন্তু এর কোনো লাভ আমরা জন সাধারণরা পাচ্ছি না। তাই এসব বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে একদিকে দেশের অর্থনীতির গুরুত্ব বাড়বে, অন্যদিকে পুঁজিবাজারে আরো বিনিয়োগ বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন শঙ্কট রয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের শঙ্কট রয়েছে, তবে তা অনেকাংশেই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। এরপরও কোনো শঙ্কট থাকলে তা সকলের সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে হবে। বর্তমান সরকার শেয়ারবাজারের নানামুখী পদক্ষেপে বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে কাজ করছে। শেয়ারবাজারে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী পদক্ষেপের কারণে স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। কারণ পুঁজিবাজারের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর।ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট বাড়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ব্যাংক এক্সপোজার লিমিট বাড়ানো হয়েছে। যা ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে অনেকে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, যা পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় আলচনা করে সময়সীমা দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার প্রয়োজন হয়েছে। তাই বলবো দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকে আরো নমনিয় হতে হবে বলে।সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশিনের (বিএসইসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন নিজামি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথাযথ স্টেশনে পৌঁছাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ জন্য পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ব্যাংকিং লেনদেন আর পুঁজিবাজার লেনদেন এক নয়। তাই আমাদের চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর পুঁজিাবাজারের জন্য কাজ করতে হবে।এরআগের অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. এমএ মজিদ, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু।প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে র্যাফেল ড্র। এতে পুরস্কার হিসেবে থাকছে ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটের বিমান টিকেট (প্রতিদিন উভয় রুটে একটি করে), ল্যাপটপ (প্রতিদিন ১টি), স্মার্ট ফোনসহ বিভিন্ন পুরস্কার। এসআই/আরএস/পিআর

Advertisement