জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজের তিন ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩১০ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু জিম্বাবুয়ের মাটিতে ফিরতি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই খালি হাতে ফিরতে হলো টাইগার অধিনায়ককে। যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে বসে গেছে তামিমের নাম।
Advertisement
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনি আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন।
কেন আগে বোলিং নিতেন তামিম, তারই যেন প্রমাণ দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের দুই নতুন বলের পেসার। প্রথম দুই ওভারে ব্লেসিং মুজুরাবানি ও টেন্ডাই চাতারার বিপক্ষে সুবিধাই করতে পারেননি তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
বেশ কয়েকটি বলে আউটের সম্ভাবনা জাগান এ দুই পেসার। অল্পের জন্য বেঁচে যান দুই টাইগার ওপেনার। তবে প্রথম দুই ওভার থেকে কোনো রান অবশ্য করতে পারেনি বাংলাদেশ।
Advertisement
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি অফস্ট্যাম্পের খানিক বাইরে করেছিলেন মুজুরাবানি। এক্সট্রা বাউন্স থাকা ডেলিভারিটি কাট করতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৯তম বারের মতো শূন্য রানে আউট হন তামিম। যা কি না বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, তিন ফরম্যাট মিলেও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক এখন তামিম।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতদিন ধরে সমান ১৮টি ডাক ছিল তামিম ইকবাল ও হাবিবুল বাশার সুমনের। আর তিন ফরম্যাট মিলে সমান ৩৩ ডাক ছিল তামিম ও মাশরাফি বিন মর্তুজার।
আজ (শুক্রবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হয়ে দুইটি রেকর্ড থেকেই বাশার ও মাশরাফিকে মুক্তি দিয়েছেন তামিম। তিন ফরম্যাট মিলে তামিমের শূন্যের সংখ্যা এখন ৩৪টি।
Advertisement
অবশ্য বিশ্ব ক্রিকেট বিবেচনায় তামিম এখনও বেশ পেছনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলে সর্বোচ্চ ৫৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। এছাড়া পঞ্চাশের বেশিবার শূন্য রানে ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ (৫৪) ও শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া (৫৩)।
তিন ফরম্যাট মিলে তামিমের ৩৪ এর চেয়ে বেশি ডাক রয়েছে ৩১ জন ব্যাটসম্যানের। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ও মাশরাফি ছাড়া ৩০ এর বেশি ডাক মেরেছেন কেবল মোহাম্মদ আশরাফুল, ৩১টি।
এসএএস/জিকেএস