আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে প্রথম মৃত্যু

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে প্রথম মৃত্যু দেখল ফিলিপাইন। শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রথম মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

Advertisement

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফিলিপাইনে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।

নতুন সংক্রমণের মধ্যে ১৬ জনের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনকে রাজধানী ম্যানিলার একটি হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। গত ২৮ জুন তার মৃত্যু হলেও তিনি যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন সে বিষয়টি সম্প্রতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ফিলিপাইনের পাঁচ নাগরিক সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত ১১ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৬ জন দক্ষিণাঞ্চলীয় মিনদানাও দ্বীপের, দু'জন মেট্রো ম্যানিলার, একজন কেন্দ্রীয় লুজনের এবং দু'জন কেন্দ্রীয় ভিসায়াস অঞ্চলের।

Advertisement

সংক্রমণের গতি রোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সর্বপ্রথম ভারতে শনাক্ত হওয়ায় এটি করোনার ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত। এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে সংক্রমিত ভ্যারিয়েন্ট এটি। শুধুমাত্র এশিয়ায় নয় বরং এখন যুক্তরাজ্যেও এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

সংক্রমণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাই এখন ভ্যাকসিনকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সোমবার প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন নিয়েছেন আরও ৩ লাখ ৯১ হাজার মানুষ।

ইন্দোনেশিয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৫। এর মধ্যে মারা গেছে ২৬ হাজার ৩১৪ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৬ জন।

বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্দোনেশিয়া হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন আরেকটি হটস্পট। গত দেড় বছরের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বলা যায়, সেখানে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে।

Advertisement

দেশটিতে চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

টিটিএন/এমএস