বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন, বাইপ্যাপ মেশিন এবং এক্সেসরিজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র সমাজের বিত্তবানদের প্রতি ত্যাগ ও কোরবানির মাসেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুত দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ৭ দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ডিএনসিসির একটি বিপণি-বিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯’ হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, এ ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে দোকান বরাদ্দ থেকেই বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। নগরবাসীকে সেবা দিতেই এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।
Advertisement
নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য তার পক্ষ থেকে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে অত্যাধুনিক দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়িও দেয়া হয়।
মেয়র আতিক বলেন, মহামারি চলাকালীন এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারি শেষ হলে এটি সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সশরীরে পশুর হাটে না গিয়ে অনলাইনে ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১ থেকে কোরবানির পশু কেনার পরামর্শ দেন। বক্তব্য শেষে ডিএনসিসি মেয়র হাসপাতালের পরিচালকের কাছে আটটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন, ১৮টি বাইপ্যাপ মেশিন এবং ৪০ প্যাকেট বাইপ্যাপ মেশিনের এক্সেসরিজ হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/এসএস/জিকেএস
Advertisement